সফলতার জন্য -২
বাজ পাখি। আমরা অনেকে শঙ্খ চিল বলেই জানি বা চিনি। বিশেষ করে যারা গ্রামীণ এলাকাতে বসবাস করে থাকি। তারা প্রায়শই দেখতে পাই। এই পাখিটিকে।
এর বিশেষ শক্তি সম্বন্ধে আমরা পরিচিত। এ কি দক্ষতায় লক্ষ্য বস্তুকে আক্রমন করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিকারকে শিকার করে নিয়ে যায়। ভাবতে অবাক লাগে। বিশেষ করে তাঁর ডানার শো শো শব্দ, যখন সে শিকার ধরতে আকাশ থেকে মাটির কাছাকাছি মুহূর্তে নেমে আসে। তা ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মত।
এরা বহু দূর বা উঁচু থেকে শিকার কে টার্গেট করে এবং নিমেষে শোঁ করে নেমে আসে এবং ছোঁ মেরে শিকার করে খুব উঁচু গাছের উপর নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়। আমরা এও জানি যে এদের দৃষ্টিশক্তি,দুই ডানা ,ঠোঁট ও পায়ের নখের শক্তি বা জোর অসাধারণ। এরা একবার যে শিকারকে ঠোঁট ও পায়ে ঝাপ্টে ধরে। সেটা ফস্কে যায় না। সেটা তাঁর ওজনের চাইতে বেশি হলেও না।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ,সেই বাজ পাখিরও শক্তি একদিন কমতে থাকে। সেই শারীরিক দক্ষতা ক্ষিপ্রতা আলগা হতে থাকে। ধীরে ধীরে শিকার ঠিক মত ধরতে পারে না। নিয়মিত শিকার করতে পারে না। শিকার না করতে পারার জন্য, প্রায় দিন অনাহারে কাটে।
সে নিজে নিজে ভেবে সমস্যা খুঁজতে শুরু করে। এবং এইভাবে চলতে চলতে একদিন সে বুঝতে পারে। তাঁর কি কারনে এই অবস্থা হচ্ছে। একদিন সে জঙ্গলের মধ্যে যায়। এক পাথরের উপর বসে। নিজের ঠোঁট ও পায়ের নখ গুলোকে পাথরের উপর ঘষতে থাকে। ক্রমাগত ঘসেই চলে। রক্তাক্ত ও যন্ত্রনায় কাতর হয়ে ওঠে। তবুও সে থামে না। ধীরে ধীরে পুরনো বসে যাওয়া ঠোঁট ও নখ গুলো ক্ষয়ে যেতে থাকে। একই রকম ভাবে ঠোঁটের সাহায্যে তাঁর ডানার পুরানো পালকগুলোকে তুলে ফেলে।
কিছু দিনের মধ্যে তাঁর ঠোঁট, নখ ও পালক নতুন ভাবে গজিয়ে ওঠে। নতুন গজিয়ে ওঠা নখ ও ঠোঁট আরও তীক্ষ্ণ ও ধারালো হয়ে উঠে। পুনরায় তাঁর পুরানো দক্ষতা ফিরে আসে এবং নতুন উদ্দমে শিকার করতে শুরু করে।
তাই বন্ধুরা , আসুন আমরা বাজ পাখি থেকে শিক্ষা নিয়ে। পুরানো ধারণা, অভ্যাস, ও চিন্তাধারাকে বদলায়। নিজেকে ঘষে মেজে, এক নতুন ধারায় রূপান্তরিত করি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন