হাল ছেড়ো না বন্ধু
হতাশ হবেন না বন্ধু! সহজেই হার মানবেন না বন্ধু! অন্তত প্রচেষ্টাটা জারি রাখুন। জয়ী হবেন হবেনই।
আমরা অনেকেই জানি গল্পটা। তবুও আজ আর একবার আলোচনা করি।
এক সার্কাস দল।এক মা হাতি এক হৃষ্ঠ পুষ্ট,সবল বাচ্চার জন্ম দেয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাটি যথারীতি বড় হতে থাকে। বাচ্চাদের স্বভাব হেতু এদিক ও দিক ছুটোছুটি লাফা লাফি করতে থাকে। বাচ্চাটি নিজের আনন্দে থাকে। কিছু লোক হাতির বাচ্চা টির সঙ্গে খেলা করে। আবার কিছু লোক ভয় পেয়ে যায়। তার থেকে দূরে সরে যাবার চেষ্টা করে। তেমনি কিছু লোক অযথা অধিক ভয় পেয়ে। সার্কাসের মালিককে কমপ্লেইন করে যে, নিরাপদ দুরুত্বে তাদের হাতির বাচ্চাকে বেঁধে রাখার জন্য। যাতে হঠাৎ বাচ্চাটির আক্রমণে গ্রামের লোক জনের কোনো ক্ষতি না হয়।
প্রথম প্রথম মালিক লোক জনের কথায় ততটা গুরুত্ত্ব দেয় নি। কিন্তু বার বার কম্প্লেইন আসতে থাকায় হাতির বাচ্চাটিকে পাতলা হালকা লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে দেয়।
বাচ্চাটি কি আর করবে। প্রথম প্রথম মন মরা হয়ে বন্দি দশা মেনে নেই। কিছু দিন পর আর থাকতে না পেরে বাঁধনটি ছিঁড়ে বার হবার চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হতে পারে না।
দিনের পর দিন পূর্ণ শক্তি নিয়ে সে চেষ্টা করে যেতেই থাকে। কিন্তু বার বার বিফল হতে থাকে। এক সময় আশাহত হয়ে। হার শিকার করে। এবং মেনে নেই ,যে ওর দ্বারা শিকল ছিড়ে বাঁধন মুক্ত হতে পারবে না।হওয়া যাবে না। আর এটাকেই ভবিতব্য মেনে নিয়ে জীবন যাপন করতে থাকে। মাহুত দলের অন্যান্য হাতিদের যেমন ভাবে পরিচালনা করে। এও সেই ভাবেই চলতে থাকে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। ধীরে ধীরে। হাতির বাচ্চাটি বড় হতে থাকে। বয়সের সঙ্গে বলবান হতে থাকে। সে আর কোনো দিন চেষ্টা করে না। শিকল ছিড়ে বার হবার। নিজেকে বাঁধন মুক্ত করার ।
কিন্তু বাস্তব সত্য হলো। সে যদি চেষ্টা করে। তাহলে একবার হেচ্কা টান দিলেই। এই সরু, পাতলা লোহার শিকলটা ছিড়ে দিতে পারে। নিজেকে বাঁধন মুক্ত করে। স্বাধীন হতে পারে।
তাই সহজেই হার না মেনে চেষ্টাটা চালিয়ে যান। সফলতা চরণ ছোঁবেই।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন