Goal Setting(লক্ষ্য নির্ধারণ )
আমরা প্রতেক্যেই কম বেশি দৈনন্দিন জীবনে,সময় এবং কাজ লক্ষ্য নিয়েই চলি। তা সচেতন ভাবে বা অচেতন ভাবেই হোক না কেন। আমাদের জীবন শুরু এবং শেষ আছে যেমন। তেমনি জীবনের প্রতি ধাপে একটা লক্ষ্য থাকে। যেমন পড়াশুনা, চাকুরী ,সংসার ,সংসার জীবন, ছেলে মেয়ে এবং তাঁদের পড়াশুনা ও সংসার জীবন এটাই সাধারণত আম মানুষের লক্ষ্য হয়।
অন্যদিকে বিশেষ লোক,যাদের আমরা সমাজের তথাকথিত সফল মানুষ হিসাবে দেখতে পায় বা মনে করি। তারা কিন্তু জীবনের প্রতি ধাপে এক সুদৃহ পরিকল্পনা করে চলেছিলেন বলে, তাঁরা নিজেদের এক নির্দিষ্ট পেশায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে; নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে পেরেছেন বা নিয়ে গেছেন।
তাই আমাদের বিজিনেসে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে। অবশ্যই প্রথমত সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সেই বিষয়েই আমরা বোঝার চেষ্টা করি।
লক্ষ্য নির্ধারণ করার সময় এক বিশেষ পদ্ধতি স্মরণে রাখলে, লক্ষ্য নির্ধারণ করা এবং তা অর্জন করা সহজ হয়। আমরা পদ্ধতি গুলো একবার দেখে নিই। একে সংক্ষেপে বলা হয় :-
SMRT
M= Measurable (পরিমাপ যোগ্য ): লক্ষ্যটা অতিঅবশ্যই পরিমাপযোগ্য হবে।
A= Achievable (অর্জন যোগ্য ): লক্ষ্য অর্জনযোগ্য হবে। আমি যেন অর্জন বা লাভ করতে পারি।
R= Realistic (বাস্তব সম্মত ): লক্ষ্য কাল্পনিক না। বাস্তবসম্মত হবে।
T=Time Bund (সময়ের মধ্যে ): এবং এটি অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্জন বা লাভ করা যাবে।
আমরা যারা ডাইরেক্ট সেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে আছি ,কাজ করছি। সেখানে ডায়মন্ড লেভেলকে এক বিশেষ সম্মানীয় লেভেল হিসাবে মান্যতা দেওয়া হয়। । অবশ্য বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে এই লেভেলকে চিহ্নিত করে। এইরূপ এক সম্মানীয় লেভেল থাকে, যেখানে সকলেই পৌঁছাতে চায়। প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে এই লেভেল এচিভ করার।
এখন আমাকে সিন্ধান্ত নিতে হবে। কতদিনের মধ্যে এই লেভেলে পৌঁছাব। যেমন ১ বছর বা ২ বছরের মধ্যে। এবং ওখানে পৌঁছনোর জন্য আমাকে কত টাকার বিজিনেস করতে হবে। এবং সঙ্গে কত জনের টীম বানাতে হবে। আমাদের পরিকল্পনা করে নেওয়া দরকার।
লক্ষ্য ঠিক করার পর। আমাদের সময় ও লক্ষ্য যেখানে পৌঁছাতে চায়। সেটাকে ভেঙে ভেঙে পরিকল্পনা করতে হবে। যেমন ১২ মাস বা ২৪ মাসের লক্ষ্য পূরনের পরিকল্পনা করলে। সেটাকে ৩০ দিনে , ১৫ দিনে, ৭ দিনে এবং প্রতিদিন কি কাজ করতে হবে, তা লিখিত ভাবে সাজিয়ে নেওয়া উচিত। কেবল লিখিত না,আমাদের প্রতিদিন হিসাবে প্রতি দিনের শেষে মুল্যায়ন করে দেখতে হবে। আজকের টার্গেট কি ছিল কতটা পুরন হয়েছে। না হলে কেন হয় নি। সেটাও দেখতে হবে এবং আজকের টার্গেটের অবশিষ্ট অংশ ,পরের দিনের টার্গেটের সঙ্গে যোগ হবে। এবং পরের দিনের মোট টার্গেট পূরণ করতে হবে। এভাবে চললে আমাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট লক্ষ্য,ডায়মন্ড লেভেল পৌঁছানো সহজ হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন