কিভাবে যোগাযোগ করব। প্রথম পর্বে আমরা আলোচনা করেছি। শুরুতে গেস্ট এর সঙ্গে কথাবার্তা কিভাবে শুরু করব। আজকে আমরা আলোচনা করব। কথা শুরুর আগে কি ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।
কোন কাজ শুরু করার আগে। আমরা যদি যথাযত প্রস্তুতি নিয়ে কাজে নামি। তাহলে কাজটা সুষ্টু ভাবে সম্পন্ন হয়। অন্ততপক্ষে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায়। সেই রূপ আমাদের বিজিনেসে বিজিনেস প্রেজেন্টেশন এর জন্য। আমন্ত্রণ জানানোর পূর্বে। কিছু বিষয়ে অতি অবশ্যই খেয়াল রাখা প্রয়োজন। যাতে বার্তালাপ সুষ্টু ভাবে সম্পন্ন করা যায়।
যেমন গেস্ট কি ধরনের মানসিকতার ব্যক্তি। তাঁর ভালো গুন কি কি আছে। এবং নেগেটিভ গুন কি আছে । সে কোন বিষয়ে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে বা বিষয়টি পছন্দ করে। গেস্টের যে বিষয়ে বেশি আগ্রহ বা পছন্দ রয়েছে। সেই বিষয় নিয়েই কথা বার্তা শুরু করা।
আবার অন্যদিকে ব্যক্তিটির কোনো বিষয়েই আগ্রহ না থাকলে। তাঁর কমিয়া ঘাটতি বা দুর্বলতা কি আছে। তা খুঁজে বার করা ও সেই মত সমাধানের উপায় নিয়ে কথা বলা। যাতে তার মনে ভরসা জাগে, যে এই বন্ধু বা আত্মীয়, আমার ভালোর জন্য বাস্তবিক আগ্রহী ও সহানুভূতিশীল।
এখানে আরো কয়েকটা বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন। যেমন ব্যক্তিটি শিক্ষক ,কৃষক, দোকানদার বা জব করে। পার্ট টাইম না ফুলটাইম। তাও আগে থেকে জেনে নেওয়া। তারপর সেই মত এপ্রোচ বা কথাবার্তার কৌশল ঠিক করে নিতে হবে।
প্রতিটি মানুষ, আমরা সকলেই ইনকাম করতে চায়। আর্থিক স্বাচ্ছন্দ উপভোগ করতে চাই। এখানে সকলেরই উদেশ্য বা লক্ষ্য এক। এবং এটা যে কোনো উপায়ের মাধ্যমে হোক না কেন। কিন্তু একই উপায় বা পথ সকলের নাও পছন্দ হতে পারে। যেমন দোকানদার সে তাঁর দোকান ছেড়ে সাধারণত বাইরে বার হতে চাই না। তাঁকে বিজিনেসে আনতে চাইলে। তাঁকে টিমের উপর ফোকাস রেখে; বিজিনেস এপ্রোচ করলে আগ্রহ নাও দেখতে পারে। সেখানে তাকে রিটেলিং এর উপর ফোকাস দিয়ে ; বিজিনেস অফার করলে ,যোগদানের সম্ভাবনা অধিক থেকে অধিকতর থাকবে।
অন্যদিকে যিনি চাকুরী করছেন। সে পার্ট টাইম বা ফুল টাইম হোক না কেন! তাকে যদি রিটেলিং উপর ফোকাস করে এপ্রোচ করেন। বিজিনেস অফার করেন। তা ১০০ শতাংস মাঠে মারা যাওয়ার সম্ভাবনায় বেশি থাকবে। তাঁদের ক্ষেত্রে যদি আমরা বিজিনেস অফার একটু অন্যভাবে করি। যেমন আপনি যে কাজটা করছেন তা খুবেই ভালো। এখান থেকে যে ইনকাম আসছে। আপনার পরিবার চালানোর ক্ষেত্রে এক বড় ভূমিকা পালন করছে। এই কাজটাকে বিন্দু মাত্র ডিস্ট্রাব না করে। যেটুকু বাড়তি সময় হাতে থাকে। সেই সময়টাকে, কাজে লাগিয়ে একটু বাড়তি ইনকাম বা সমপরিমাণ অর্থ রোজগার আসে! তাহলে কেমন হয়? এই ভাবে যোগাযোগ বা এপ্রোচ করলে। আশা করা যায়। ব্যক্তিটি সঙ্গে সঙ্গে না বলতে পারবে না। অন্তত পক্ষে কিছু সময় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার সুযোগ নেবে। বেশ তাহলেই ধরে নেওয়া যাবে। প্রথম ধাপের এপ্রোচ বা যোগাযোগ সফল ।
মোদ্দা কথা। অসহায় মানুষ। সেটা আর্থিক ভাবে হোক। সামাজিক ভাবে বা মানসিক ভাবে। দুঃখ হোক আনন্দে হোক। একটা মজবুত কাঁধ খুঁজে বেড়ায়। যার কাঁধে সে কাঁধ বা মাথা রাখতে পারে। পরিস্থিতিটা ভাগ করে নিতে সক্ষম হয়। বিশেষ ভাবে মানুষ যখন আর্থিক ভাবে দুর্বল। তার জন্য বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে থাকে। একার ভাবনায় ,একার চেষ্টায়,সেই সমস্যা থেকে বার হতে পারে না। সেই সময় বিশ্বস্থ সাথী,সমব্যাথি বন্ধু খোঁজে। আর আমরা জানি। দেখতে পায়। বর্তমান সমাজে সাহস দেবার। সঙ্গ দেবার। লোকের খুবেই অভাব।
0 মন্তব্যসমূহ