আমরা পরমাত্মার সন্তান। আমরা সর্বশক্তিমান

 

Hi 
বন্ধুরা!
কে কেমন আছেন।  আশাকরি সকলেই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন!
আসুন একটু খোশগল্প শুরু করি। 

গভীর জঙ্গল। বিভিন্ন জীব জন্তু এক সঙ্গে বসবাস করে।  সেইরূপ একদল বাঘও বসবাস করে।  অন্যান্য জীব যেমন সারাদিন শিকার করে জীবিকা চালায়। সেইরূপ বাঘের দলও নিজের নিজের জীবন চালানোর  জন্য। তাদেরও বেঁচে থাকতে শিকার করতে হয়। 

একদিন এক বাঘিনী শিকার করার জন্য, শিকার পাবার আশায়, এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে দল ছেড়ে একাকী জঙ্গলের অন্য দিকে চলে যায় । 

ঘুরতে ঘুরতে। হঠাৎ করে এক শিকারির সামনে পড়ে যায়।  শিকারী মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির সুযোগ পাই। ভাবে এই সুবর্ণ সুযোগ  বাঘটাকে  স্বীকার করার। শিকারী যেই বাঘিনীর দিকে, তার অস্ত্র তাক করে, নিক্ষেপ করার জন্য তৈরি। সেই সময় বাঘিনী শিকারিতে দেখতে পাই।

বাঘিনী প্রাণ বাঁচাতে ছুটতে শুরু করে। শিকারিও বাঘিনীর পিছন ধাওয়া করে। একজন প্রাণ বাঁচাতে আর একজন প্রাণ বধ করতে, সর্বশক্তি দিয়ে ছুটতে থাকে। প্রাণপন ছুটতে থাকে দুজনেই। ছুটতে ছুটতে গভীর জঙ্গল থেকে কখন তৃণভূমি অঞ্চলে এসে পড়ে। দুপক্ষের কেউ খেয়াল করে না। 

ছুটতে ছুটতে বাঘিনীটি এক নালার সামনে এসে পড়ে। সামনে আর অন্য কোনো উপায় না দেখে। লাফ মেরে নালাটি পার হবার জন্য। সে সর্বশক্তি দিয়ে লাফ মারে। কিন্তু সজোরে লাফ মারার ফলে। বাঘিনীর বাচ্চা প্রসব হয়ে যায়। কেননা বাঘিনী অন্তসত্তা ছিল। বাচ্চা প্রসব হবার ফলে বাঘিনী বেশি দুর ছুটতে পারে না। শিকারী বাঘিনীকে বধ করে বাড়ি নিয়ে যাই।  সদ্য ভুমিষ্ট হওয়া বাচ্চাটি ওখানেই পড়ে  থাকে।

কিছুসময় পরে। সেই তৃণভূমি অঞ্চলে এক ভেড়া পালক। তার একপাল ভেড়া  নিয়ে। সেই অঞ্চলে চরাতে  আসে। ঘুরতে ঘুরতে দেখতে পাই। এক বাঘের বাচ্চা অবহেলায় পড়ে আছে। সে সেই শিশু বাচ্চাটিকে  বাড়ি নিয়ে আসে। 

যেমন অন্যান্য  ভেড়ার  বাচ্চা লালন পালন করে। সেই রূপ এই বাঘের বাচ্চাটিকেও  লালন পালন করতে থাকে।  বাঘের বাচ্চাটি ভেড়ার  পালের মধ্যে থেকে বড় হতে থাকে। ভেড়া শাবক যেরূপ ঘাস পাতা খাই সেরূপ সেও খেতে থাকে।

একদিন ভেড়ার পাল চরতে চরতে জঙ্গলের কাছাকাছি  পৌঁছে যায় ।  তখই জঙ্গল থেকে অন্য একটি বাঘ শিকার ধারার  জন্য বার  হয়ে আসে। । ভেড়ার পালের কাছাকাছি এসে তার নজরে পড়ে। এক বাঘের বাচ্চা  ভেড়ার পালের সঙ্গে মিশে আছে। ভেড়ার বাচ্চা, যেরকম  ঘাস পাতা খাচ্ছে। সেইরকম  সেও খাচ্ছে। 

প্রথমত সে অবাক হয়ে যায়। এবং মনে মনে ভাবতে থাকে। এ কিভাবে সম্ভম ! ভেড়ার পালে বাঘের বাচ্চা। বিশ্বাস করতে  পারে না।  কিছু সময় ধরে সে দেখতে থাকে।  এবং মেনে নেই যে সত্যি সত্যি সেটি বাঘের বাচ্চা।
 
তখন সে ছোট বাঘের বাচ্চাটির কাছে যায়। এবং তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে, যে তুমি ভেড়ার বাচ্চা নও।  তুমি বাঘের বাচ্চা। তুমি এখানে এই দলে। এখানে থাকতে পার না। সে বাচ্চাটিকে টেনে নিয়ে জঙ্গলে যাবার চেষ্টা করে।  কিন্তু বাঘের বাচ্চাটি  কোন ভাবেই ,ভেড়ার দল ছেড়ে জঙ্গলে যেতে চাই  না। কেননা সে সেই ভাবেই অভ্যস্ত হয়ে আছে। নিজেকে ভেড়ার মতই মনে করে। 

জঙ্গলের বাঘটি যখন দেখে কোনো ভাবেই বাচ্চাটি তার সঙ্গে জঙ্গলে যেতে চাইছে না।  তখন সে বাচ্চাটিকে  টেনে  নিয়ে পাশের এক জলাশয়ের কাছে নিয়ে যায় । জলাশয়ে নিজের মুখটি  তুলে ধরে।  সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাটিরও ঘাড়  ধরে তার মুখটাও জলের উপর তুলে ধরে। দুজনের মুখের প্রতিচ্ছবি জলে ভেসে ওঠে। দেখিয়ে দেয়। এবং বলে।  দেখ তুই যা। আমিও তাই। আমরা অভিন্ন। অবশেষে বাঘের বাচ্চাটি তার  স্বরূপ চিনতে পারে এবং বিশ্বাস করে। সেও বাঘের বাচ্চা। তখন সে ভেড়ার পাল ত্যাগ করে জঙ্গলের বাঘের সঙ্গে গভীর জঙ্গলে চলে যায়।  

তাই বন্ধুরা। আমরা পরমাত্মার সন্তান। আমরা সর্বশক্তিমান। আমরা অসীম ক্ষমতার অধিকারী। আমরা যা চাইবো।  তাই পেতে পারি । যা চাইবো তাই করতে পারি।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করব

ট্রাডিশনাল মার্কেটিং ব্যবস্থা