বন্ধুরা! আমরা প্রত্যেকেই ইনকাম করতে চাই। অনেক, অনেক টাকা ইনকাম করতে চাই। কিন্তু কিভাবে ? কাজের হিসাবে, কোন কাজ করলে? অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় ও নির্দিষ্ট কাজ ব্যতিরেকে। কোন কাজে, কত পরিমান ইনকামের সুযোগ রয়েছে। সেই সম্বন্ধে আমাদের পরিষ্কার, স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন। তাহলে চাহিদা অনুযায়ী স্বপ্ন পূরনের জন্য,কাজ নির্বাচন করতে সুবিধা হয়।
আসুন,আজকে, আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করি। যারা প্রথাগত বিজিনেস করছেন, বা যারা জব করছেন, বা দৈনিক মজুরি হিসাবে কাজ করছেন। তাঁদের তো রোজগার মোটামুটি ফিক্সড। দিনের শেষে, সপ্তাহ বা মাসের শেষে পেয়ে যান। এটার কোন পরিমার্জন, পরিবর্তন, সাধারণত হয় না। হলেও তা নূন্যতম এবং দীর্ঘদিন পর পর।
লিনিয়ার ইনকাম এবং লেভারেজ ইনকাম নিয়ে আলোচনায় আসা যাক। যা আমাদের ডাইরেক্ট সেলিং বিজিনেসে যোগদানের পূর্বে অনেকবার শুনে এসেছি। বলা ভালো, লেভারেজ ইনকামের সম্ভাবনা আছে বলেই, আমরা ডাইরেক্ট সেলিং বিজিনেসে যুক্ত হয়েছি ,কাজ করছি।
প্রথমত আসা যাক লিনিয়ার ইনকাম বিষয়ে।
১। এই ইনকাম সরাসরি সময়ের সঙ্গে জড়িত। যত ঘন্টা কাজ করব। ঘন্টা প্রতি বা হিসাবে ভাতা বা পারিশ্রমিক পেয়ে থাকি।
২। যে দিন কাজ করব না। সেই দিন কোন টাকা পাব না। অর্থাৎ ইনকাম জিরো।
৩। ট্রাডিশনাল(চিরাচরিত প্রথা) কাজ, যেমন ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। দিনে ৮ ঘন্টার কাজ। বেতন বা মজুরি হিসাবে পেমেন্ট।
৪। এখানে সরাসরি সময় ও কাজের সঙ্গে সম্পর্ক। কাজে এক্টিভ থাকতে হয়। এক্টিভ না থাকলে পেমেন্ট না, বা ইনকাম নাই।
উদাহরণ নেওয়া যাক।
রাম বাবু। বাজাজ বাবুর কারখানাতে কাজ করেন। প্রতিদিন তাকে ৮ ঘন্টা কাজ করতে হয়। মাসে ১০০০০ টাকা মাইনে পান। তাহলে হিসাব করলে দাঁড়ায়। রাম বাবু মাসে ৪ দিন, রবিবার ও ১ দিন নিজের প্রয়োজনে ছুটি নিলে, মাসে ছুটি করে ৫ দিন। অর্থাৎ রামবাবু প্রতি মাসে কাজ করেন ২৫ দিন। তিনি মাসে ১০০০০ টাকা মাইনে পেলে, প্রতি দিন হিসাবে, তার কাজের মূল্য দাঁড়ায় ৪০০ টাকা।
কাজের সময় ৮ ঘন্টা।সময়ের মূল্য হিসাবে দাড়ায় ৪০০ টাকা। তাহলে ১ ঘন্টার কাজের মূল্য ৪০০/ ৮ = ৫০ টাকা, প্রতি ঘন্টা। রামবাবুর পরিবারের প্রয়োজনে বাড়তি ইনকাম বা ডবল ইনকাম করতে চাইলে। অর্থাৎ ২০০০০ টাকা ইনকাম, করতে চাইলে, তাঁকে ৮ ঘন্টার জায়গায় ১৬ ঘন্টা কাজ করতে হবে। তাহলেই পরিবারের প্রয়োজন মিটবে। এইভাবে নিয়মিত কাজ করলে তাকে প্রায় আহার, নিদ্রা, বিশ্রাম বাদ দিতে হবে। আর এগুলো বাদ দিলে ধীরে ধীরে তার শরীর রোগগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এবং একদিন সম্পূর্ণ ভাবে কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়বে। ইনকাম শূন্য। একেই বলে লিনিয়ার ইনকাম বা আক্টিভ ইনকাম। সক্রিয়ভাবে কাজ করলে ইনকাম আসে। নিষ্ক্রিয় থাকলে ইনকাম শূন্য।
অন্যদিকে বাজাজ বাবু। যিনি কিছু মূলধন লাগিয়ে একটি কারখানা স্থাপন করেছেন। এবং রামবাবুর মত ,তার কারখানাতে ২০০০ জন কাজ করেন। প্রতিজন শ্রমিক ৮ ঘন্টা হিসাবে কাজ করলে। প্রতিদিন মোট কাজের সময় হয় ২০০০*৮ =৪০০০০ ঘন্টা। মাস হিসাবে দাড়ায় ২৫*৪০০০০ = ১০০০০০০ ঘন্টা। অর্থাৎ সময়কে মাল্টিপ্লাই করা। একই সময়কে অনেকের সঙ্গে গুন করা গুণিতক হিসাবে ধরা।
এখানে প্রশ্ন! বাজাজ বাবু কি রামবাবুর মত, যে আরও ২০০০ শ্রমিক, তার কারখানাতে কাজ করছে। তারা প্রতিদিন ৪০০ টাকা মূল্যের কাজ করে। উত্তর হল না। তারা কমপক্ষে ৬০০ টাকা মূল্যের কাজ করে। তাহলে ২০০ টাকা গুণিতক ২০০০ =৪০০০০০ টাকা প্রতিদিন। মাসে ২৫ গুণিতক করলে হবে =১ কোটি। বাজাজ বাবু একবার মূলধন লাগিয়ে মাসে কোটি টাকা ইনকাম করে। হিসাবটি যদি অর্ধেকও ধারা যায় ,তাহলেও মাসে ৫০ লাখ টাকা ইনকাম হয়।
একেই বলে লেভারেজ ইনকাম। বা প্যাসিভ ইনকাম। একবার কাজ কর। সারাজীবন সেই কাজ থেকে,শুয়ে, বসে, টাকা ইনকাম কর। নিয়মিত ইনকাম আসতে থাকে।
ডাইরেক্ট সেলিং বিজিনেসে একবার পরিশ্রম করে বড় টীম তৈরি করুন। এক মজবুত বড় টীম তৈরি হয়ে গেলে। টিমের বিজিনেস থেকে, নিজের জন্য,সারাজীবন, এক সময়ের পর , এমন কি আমার অবর্তমানে, আমার পরিবারে নিয়মিত ইনকাম আসতে থাকবে। এটাই ডাইরেক্ট সেলিং বিজিনেসের ইউনিকনেস, অনন্যতা।
বন্ধুরা, আপনারা কিভাবে দেখেন বিষয়টা!
0 মন্তব্যসমূহ