List Building(তালিকা তৈরি)

নমস্কার বন্ধুরা !
আমরা জানি যে, ডাইরেক্ট সেলিং বিজিনেসে, লিস্ট বিল্ডিং বা সম্ভাব্য গেস্টের তালিকা তৈরি করা,কতটা জরুরি ও প্রয়োজন। 

এই লিস্ট তৈরি করাকে অনেকেই মানুষের শরীরের শিরদাঁড়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। আমরা জানি, মানব শরীরের ব্যাক বোন বা শিরদাঁড়া এক ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যাতে নির্ভর করে, মানুষ শরীরের ভারসাম্য রাখতে পারে। সচ্ছন্দে চলাফেরা কাজকর্ম করতে পারে। এই শিরদাঁড়া ব্যতিরেকে, যেমন মানব শরীর অসম্পূর্ণ, এবং সোজা দাঁড়াতে অক্ষম। তেমনি লিস্ট হল এই বিজিনেসের রিড কা হাড্ডি বা মেরুদন্ড। 

অন্যমতে। লিস্ট হল ,আশা ও ভরসার জায়গা। লিস্ট যত বড়, লম্বা বা সংখ্যা তত্বে বেশি হবে। ততটাই বিজিনেসে নিজের আত্মবিশ্বাস ও ভরসা সুদৃহ হবে। 
বন্ধুরা, আমরা জানি যে,কোন নিয়ম, নীতি বা পদ্ধতি, আমাদের বেঁধে রাখে না। বরঞ্চ আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করে। সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। 
এই লিস্ট তৈরি করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। যার যেমন ইচ্ছা, সে সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এক বড় লিস্ট বানায়। এবং নিয়মিত ভাবে, নতুন নতুন ব্যক্তির নাম যুক্ত করে চলতে থাকে। 
আসুন, আমরা এক এক করে পদ্ধতিগুলো নিয়ে আলচনা করি। 

১।  আমাদের ফোন বুকের রেকর্ড অনুসরণ করতে পারি। ফোনে যে সমস্ত নাম নথিভুক্ত আছে। সেগুলো পর পর কোনো রেজিস্টার খাতাতে তোলা। এছাড়াও আমরা ফেসবুক ,হোয়াটসআপ গ্রুপেরও সাহায্য নিতে পারি। সংখ্যার হিসাবে তালিকা বা লিস্টকে বড় করার জন্য। 

২। নিজের সুবিধা মত অক্ষর  বা ইংরেজি লেটার ধরে ধরেও নামের তালিকা তৈরি করতে পারি। যেমন ইংরেজি লেটার A থেকে শুরু করে Z পর্যন্ত।  আদ্যক্ষর A,B,C,D,E,F ও G হিসাবে যতগুলো নাম আছে সেই হিসাবে। ক্রম সংখ্যা হিসাবে লিখে রাখলে খুঁজে পেতে সুবিধা হয়। সময়ের সাশ্রয় হয়। 

৩। এই পদ্ধতিকে সংক্ষেপে বলে :-

FRIENDS( ফ্রেন্ডস ) 

F=Friend(ফ্রেন্ডস):
বন্ধু। সমভাবাপন্ন ব্যক্তি। যাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয়। একে অপরকে মানসিক ভাবে হেল্প করে। এই রকম ব্যক্তি। 

R= Relative(রিলেটিভস )
আত্মীয়স্বজন। সেটা বাবার পক্ষ থেকে হতে পারে। যেমন পিসি,পিসা। মামার বাড়ি। মামা, মামি। কাকা, কাকার স্বশুর বাড়ি। নিজের স্বশুর বাড়ি, স্ত্রীর মামার বাড়ি ইত্যাদি। 

I = Institutional Friends( ইনস্টিটিউশনাল ফ্রেন্ডস ):
স্কুল জীবন। কলেজ জীবন। যেখানে যেখানে আমি পড়াশুনা করেছি। সেখানে যে বন্ধু বান্ধব তৈরি হয়েছিল। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। বা বর্তমানে একেবারেই যোগাযোগ নেই।
 
E =Employee's(এমপ্লয়ীজ ):
কর্ম জীবন। অর্থাৎ যেখানে আমরা কাজ করছি। সে পার্ট টাইম বা ফুল টাইম হোক বা কন্ট্রাকচুয়াল হোক না কেন। সেখানে যে বন্ধু বা সমভাবাপন্ন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে এমন। 
 
N= Neighbors'(নাইগবোর্স )
পাড়া প্রতিবেশী। তা গ্রামের মধ্যে হতে পারে। আবার যারা শহরে বা কলোনিতে থাকেন। সেখানে যাদের সঙ্গে পরিচিতি, স্বল্প পরিচিতি রয়েছে এমন ব্যক্তি।  

D= Near Dears (নিয়ার ডিয়ার্স ):
খুব কাছের লোক। যেমন হতে পারে। শালা,জামাই বাবু বা ভগ্নিপতি বা শালীর পক্ষ কোন ব্যক্তি।
 
S=Strangers(স্ট্রেন্জার ):
হঠাৎ দেখা। যেমন বাসে ,ট্রেনে জার্নি করার সময়। কোনো মার্কেটে বা কোনো পরব পার্বনে, পারিবারিক অনুষ্টানে দেখা হল। কিছু সময়ের জন্য, কোনো বিশেষ বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা হল। সম্পর্ক একটু বন্ধুত্বের পর্যায়ের পৌছালো। 

তালিকা বানানোর সময় আমাদের বাছ বিচার করলে হবে না। যা আসবে মনে, তা লিখে যেতে হবে। হতে পারে হয়ত এখন ব্যক্তি, আমি যার নাম তালিকাতে তুলছি না। বিজিনেসে যোগদান করবে না ভেবে। কিন্তু দেখা গেল ভবিৎষতে, সে ব্যক্তিই বিজিনেসে যোগদান করেছে। অন্যদিকে যার নাম,তালিকাতে প্রথম লিখেছি। সেই ব্যক্তিটিই বিজিনেসে যোগদান করলো না। 

কমপক্ষে প্রথম ধাপে ১ থেকে ২ শত ব্যক্তির নামের তালিকা তৈরি করা প্রয়োজন। তারপর, তালিকা বা লিস্ট সর্টিং করতে হবে। এটাও এক খুবেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যা আমরা পরের পর্বে আলোচনা করব। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ