How to Approach part-3 (কিভাবে যোগাযোগ করবেন পর্ব-৩)

ডাইরেক্ট সেলিং বিজিনেস মুলত টীম নির্মান করার কাজ। যত বড় টীম। সংখ্যা হিসাবে বেশি। তত ইনকাম। বিজিনেসের  সাস্টেনাবিলিটি ,আর্থিক স্বনির্ভরতা। আর এই বড় টীম নির্মান করতে আমাদের বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাতে হয়। বিজিনেস অফার করতে হয়। বিজিনেস প্ল্যান প্রেজেন্টেশন দিতে হয়। মিটিং বা বিজিনেস সেমিনারে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই কাজটি অতি আবশ্যকীয় কাজ। বলা ভালো মুখ্য প্রধান কাজ। এই কাজটি করার পূর্বে আমাদের কিছু বিষয়। কয়েকটি নীতি বা প্রিন্সিপল স্মরণে রাখা একান্ত প্রয়োজন। যাতে এই প্রক্রিয়াটি সুষ্টু ভাবে সম্পন্ন করতে পারি 

আসুন টি প্রিন্সিপল বা নীতি নিয়ে আলোচনা করা যাক । 

১। আত্মবিশ্বাস ( সেলফ কনফিডেন্স ):

 কোন ব্যক্তিকে বিজিনেস অফার করার পূর্বে আমাকে দেখতে হবে। আমার আত্মবিশ্বাস কতটা তৈরি হয়েছে। আমি এই বিজিনেসে জয়েন করেছি। কেউ না কেউ আমাকে এপ্রোচ করেছিল। তাঁর কথা,তাঁর সেলফ কনফিডেন্স এতটাই দেখতে বা বুঝতে পেরেছিলাম যা আমাকে প্রভাবিত করেছিল এবং আমি এই বিজিনেসে জয়েন করেছি। 

এখানে আসে মুলত টি বিষয়।

কোম্পানির রেপুটেশন। অর্থাৎ মার্কেটে কোম্পানি সম্পর্কে মানুষের কিরূপ ধারণা আছে। নেগেটিভ না পজিটিভ। 

  • বিজিনেস প্ল্যান। যে বিজিনেস প্ল্যান ভিত্তি করে কোম্পানি মার্কেটে বিজিনেস চালাচ্ছে। অর্থাৎ বিজিনেস প্ল্যান নিয়ে আমার কতটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। এই বিজিনেস প্ল্যান ধরে কাজ করলে। এই বিজিনেসের মাধ্যমে এক বড় ইনকাম করব। আমার স্বপ্ন পুরণ হবে। 
  • দ্বিতীয় বিষয় আসে প্রোডাক্ট। কোম্পানির প্রোডাক্ট এর দম কতটা আছে। যে প্রোডাক্ট আমি নিজে ব্যবহার করেছি। সেই ভরসা ও বিশ্বাস সঙ্গে নিয়ে আমি মার্কেটে যাব মানুষদের প্রোডাক্ট সেল বা তাঁদের সমস্যাকে এড্রেস করে। সমাধান করতে পারব। অর্থাৎ প্রোডাক্ট এর প্রতি ভরসা বিশ্বাস। 
  • তৃতীয়ত আসে পেওয়াউট :  

       কোম্পানির যে পেআউট সিস্টেম রয়েছে তাতে আমি কতটা সন্তুষ্ট। 

২।  শারীরিক ভাষা (এটিটিউট) attitude

আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। আমি বা আমরা কাউকে কিছু দিচ্ছি। এই বিষয়ে আমরা প্রত্যেকেই ওয়াকিবহাল -গিভিং এটিটিউট অর্থাৎ দেবার ভঙ্গি ,আচরণ, শারীরিক ভাষা কিরূপ হওয়া উচিত। আমি দিচ্ছি একটা ভালো প্ল্যান।  ভালো প্রোডাক্ট। ভালো ইনকামের সুযোগ। আমরা জানি বা দেখতে পাই। কারো কাছ থেকে কোন কিছু নেওয়ার বা দেবার সময়।  আমাদের শারীরিক ভাষা কেমন হয়। এটা যেন কথাবার্তাতে বা শারীরিক ভাষায় প্রকাশ পায়। 

৩। কথা বলার সময়। এনাৰ্জি লেভেল হাই রাখতে হবে। যেমন নেতাজি সুভাষ চান্দ্র বোস। দেশ স্বাধীন করার সময় বলেছিলেন , " তোমরা আমাকে রক্ত দাও ,আমি তোমাদের স্বাধীনতা দিব।" ভাবুন উনার ভাষা বা বলার জোর কেমন ছিল। 

৪। প্রথম এপ্রোচের প্রধান লক্ষ্য হল বিজিনেস অফার করা নয়। বিজিনেস প্ল্যান শেয়ার করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো। সেটা হতে পারে অনলাইন হোক অথবা অফলাইন যে মাধ্যমেই হোক না কেন।  অনেকেই আমরা এখানেই ঝাঁপি খুলে বসি। বিষয়টা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। 

৫। অসমর্থ জানালে ব্যক্তিগত ভাবে নেবেন না। আমন্ত্রণ জানানোর সময় কোন ব্যক্তি যদি তা, না গ্রহণ করেন। তাহলে এটাকে ব্যক্তিগত ভাবে নেবেন না। কেননা সব জিনিস সবার জন্য না। দুনিয়ার সবাই সব কাজ, সব পেশা পছন্দ করে না। করতে পারে না। 

উপরিউক্ত প্রিন্সিপল বা নীতি গুলোতে, আমার নিজের কতটা জবরদস্ত ভরসা বা বিশ্বাস জন্মেছে। কতটা আত্মবিশ্বাসী। একবার ভেবে নিন। তাহলেই ব্যক্তিটিকে বিজিনেস সেমিনারে যোগদান করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। অন্যথা -

 

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ