Success Orientation Part-5 সাফল্যের দিকনির্দেশনা পর্ব -5

 

বন্ধুরা, মানুষ স্বেচ্ছায় আমাদের কাছে আসবে না। আপনাকে মানুষের কাছে যেতে হবে। যদি প্রশ্ন করেন কেন ? উত্তর হল আমাদের কাছে খুব ভালো এক অপরচুনিটি বা কাজের সুযোগ রয়েছে। এক বাক্স বন্দি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে। সেটা লোকজনের মধ্যে গিয়ে জানাতে হবে। 

ট্রাডিশনাল মার্কেটিং ব্যবস্থায় বড় বড় সেলিব্রিটি রয়েছে। টিভি, রেডিও, নিউজ পেপার ও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে। সেখান থেকে আমরা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানতে পারি। আমার আপনার ব্যবহার্য ও প্রয়োজনীয় পরিষেবা ও জিনিসপত্র বাজারে কখন কি আসছে। 

কিন্তু নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা ডাইরেক্ট সেলিং ঠিক বিপরীত। এখানে আমিই উপভোক্তা আমিই বিজ্ঞাপনদাতা। অর্থাৎ পারচেজ দি প্রোডাক্ট ,ইউজ দি প্রোডাক্ট এবং রেকমেন্ড বা রেফার দি প্রোডাক্ট। প্রোডাক্ট ক্রয় করুন,ব্যবহার করুন এবং বন্ধু বা আত্মীয়াদের সুপারিশ বা প্রস্তাব দিন। এক থেকে দুইজন, দুই থেকে ৪ জন। এই ভাবেই পরিধি বেড়ে চলে। ধীরে ধীরে এক গোষ্ঠী বা সমষ্টি তৈরি হয়। 

কিছু কিছু মানুষের মধ্যে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা ডাইরেক্ট সেলিং ইন্ডাস্ট্রি সম্বন্ধে এক মিত বা নেগেটিভ ধারণা তৈরি হয়ে আছে। এখানে লোক জুড়তে হবে। টীম বানাতে হবে। এখানেই বহু উদ্যমী আগ্রহী মহিলা পুরুষ, যুবক যুবতী পিছিয়ে আসে। অনেকেই বিজিনেস শুরু করেও মাঝপথে বিজিনেস ছেড়ে দেয়। তাদের সযত্নে লালিত স্বপ্ন। অকালেই মরে যায়। শুরুর শুরুতেই শেষ হয়ে যায়। 

এই নেগেটিভ বা অন্ধকার দিকটা তো আমরা কম বেশি সকলেই জানি। কিন্তু আসুন পজিটিভ দিকটাই একবার আলো ফেলে দেখি। কিছু ব্যতিক্রম পাওয়া যায় কি না! 

আমরা সারাজীবন ধরে অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই জীবনকালে। প্রত্যেকেই কিছু না কিছু বিক্রি করি। সেটা হতে পারে কোন ধারণা (ইডিয়া),পরিষেবা বা বস্তুদ্রব্য হোক না কেন। এবং তা সচেতন ভাবে হোক বা অজান্তে হোক না কেন। 

বিভিন্ন সময় আমাদের প্রয়োজনীয় পোশাকআশাক, গাড়ি, বাইক, টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল ক্রয় করি ব্যবহার করে থাকি। এবং আমাদের বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনকে দেখায়। তাঁরা জানতে চায় কবে কোথা থেকে বা কত দামে কিনেছ। আমরা প্রত্যেকেই উৎসাহের সঙ্গে ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। বন্ধুটি জানতে চাইলে তাঁকে রেকমেন্ড করি জিনিসটি কোথায় পাওয়া যাবে। 

ডাইরেক্ট সেলিং বিজিনেস আমাকেও কেউ সুপারিশ বা অফার করেছিল। আমি প্রোডাক্ট, বিজিনেস প্ল্যান এবং অতিঅবশ্যই ইনকাম আমার ভালো লেগেছিলো। তাই এই বিজিনেসে এসেছি। 

তেমনি প্রথমত আমার পরিচিতি সার্কেল বা পরিধির মধ্যে, তাঁদের প্রয়োজন মোতাবেক চাহিদা অনুযায়ী। প্রোডাক্ট, প্ল্যান, ইনকাম সুযোগ শেয়ার করে যেতে হবে। যার যেমন চাহিদা সেটা ধরে। বিজিনেসের মধ্যে প্রবেশ করবে। এই ভাবে সেও তার পরিচিতি সার্কেলে শেয়ার করবে। ধীরে ধীরে সার্কেল বড় হবে। এই ভাবে এক সময় এক বড় গোষ্ঠী বা সমষ্টি তৈরি হবে। ধীরে ধীরে সেটাই এক সুশৃখল টীম হিসাবে উঠে আসবে। 

এই কাজটি করতে আমার লজ্জা ভয় হীনমন্যতা বা অন্যায় কোথায়। আমি নতুন কিছু করছি না। যা চলে আসছে সেটাই এক ভালো সিস্টেম এর মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। 

বরঞ্চ আমাদের গর্ববোধ করা উচিত এই ভেবে যে, আমি সমাজের জন্য এক ভালো কাজ করছি। যে সময় সমাজের বেশির ভাগ লোক। একে অন্যের পিছনে লেগে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। একে অপরকে টেনে নামাতে ব্যস্ত। সেই সময় ন্যায্য মূল্যে সঠিক প্রোডাক্ট,সেই সঙ্গে এক দুর্দান্ত জীবিকার সন্ধান সুযোগ এনে দিচ্ছি। হতে পারে সবাই এটা গ্রহণ করবে না। সবার জন্য একই জিনিস প্রযোজ্য নয়। যেমন সকল টেলেন্টেট ছাত্র ছাত্রী পেশা হিসাবে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই না। তেমনি এই পেশাতেও সবাই আসতে চাইবে না। সেটা তাঁদের অন্যায় বা দোষের না। 

তাই বন্ধুরা আসুন আমরা নেগেটিভ দিকটাকে দেখার চেষ্টা না করে। অসীম সম্ভাবনাময় দিকটাতে আলো ফেলে দেখার চেষ্টা করি, স্বপ্ন পূরণের দিকে এগিয়ে চলি।  


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ