জীবনে সফল হতে গেলে। আমাদের কমফোর্ট জোন অর্থাৎ যে বিষয়ে আমি আরাম আনন্দ পাই। সময় কাটাতে পছন্দ করি। সেটা শারীরিক বা মানসিক যায় হোক না কেন। এর থেকে বার হতে হবে। বিষয়টা আমরা প্রত্যেকেই জানি ও বুঝি। কিন্তু অনুসরণ করি কতজন! চেষ্টা অনেকেই করে থাকি। অনেকেই তীব্র প্রচেষ্টার ফলে এই অবস্থা থেকে বার হতে পেরেছি। অনেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
কমফোর্ট জোন থেকে বাইরে বেরুনো। এক প্রকার চ্যালেঞ্জ। কিন্তু অসম্ভব না। বিষয়টি সম্ভব করতে হলে চাই মানসিক দৃহতা। পণ্ডিত ব্যক্তিরা বলে থাকেন -কোন কাজ বা অভ্যাস একবারে গড়ে ওঠে না। অল্প অল্প করে। নিয়মিত ভাবে করে চললেই একদিন অভ্যাসে পরিণত হয়। আমাদের অবচেতন মন সেটা গ্রহণ করে। এবং আমাদের ইচ্ছাকে প্রভাবিত করে সেই দিকেই ইচ্ছাশক্তিকে চালিত করে।
ডাইরেক্ট সেলিং বিজিনেসে আমাদের সফল হতে হলে। জ্ঞানী পণ্ডিত ব্যক্তিদের পরামর্শ মত আমাদের সক্রিয়ভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এবং তা নিয়মিত ভাবে অনুশীলনের মাধ্যমে রপ্ত করে চললে। এক সময় ইহা অভ্যাসে পরিণত হয়ে পড়বে। আসুন এক এক করে পদক্ষেপ গুলো নিয়ে আলোচনা করি। যেমন :-
- প্রতিদিন কমপক্ষে ১ জন ব্যক্তিকে বিজিনেস প্ল্যান দেখানো।
 - প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪ জন ব্যক্তির সঙ্গে কানেন্ট হওয়া বা বার্তালাপ করা। তা হতে পারে ফোনের মাধ্যমে হোকবা সরাসরি।
 - গেস্ট লিস্ট বা তালিকা নিয়মিত সংখ্যায় বাড়াতে হবে। শুরুতে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ জন নতুন সম্ভাব্য গেস্ট এর নাম তালিকায় যুক্ত করতে হবে।
 - প্রতিনিয়ত কোম্পানি বা আফলাইন বা টীম আয়োজিত ট্রেনিংএ। টিমকে সঙ্গে নিয়ে যোগদান করতে হবে।
 - আয়োজিত হল মিটিং বা সেমিনারে উপস্থিত হতে হবে সঙ্গে অবশ্যই নতুন গেস্ট রাখতে হবে।
 - নিয়মিত ৭ দিন বা ১৫ দিন অন্তর এক্টিভ আফলাইন এর সঙ্গে কথা বা পরামর্শ করতে হবে।
 - প্রত্যেক মাসে ১-২ জন কোম্পানির প্রোডাক্ট ব্যবহার কারী ব্যক্তি(প্রোডাক্ট কনসিউমার) যুক্ত করে যেতে হবে।
 - প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট আফলাইন দ্বারা প্রস্তাবিত বই ,ডাইরেক্ট সেলিং সংক্রান্ত লেখা বা ভিডিও দেখতে হবে। 
 
.png)
0 মন্তব্যসমূহ