Success Orientation Part-12 (ধর্য্য, পেশেন্স পর্ব -২)

নমস্কার বন্ধুরা। কেমন আছেন ? আশাকরি ভালো আছেন সুস্থ আছেন।  আসুন আজকে আমরা আলোচনা করি ধর্য্য নিয়ে। ইংরেজী শব্দে যাকে আমরা পেশেন্স হিসাবে বেশি বার শুনে শুনে থাকি। 

ধর্য্য এমন এক বিষয়। যা প্রতিটি মানুষের জন্য। প্রতি কাজে প্রয়োজন হয়। যেমন যে কোন কাজেই করি না কেন। আমরা রেজাল্ট চাই। ফলাফলের জন্যই আমরা কাজ করি। হ্যাঁ অবশ্যই রেজাল্ট দরকার। রেজাল্ট না পেলে কাজটা করব কেন ! আমরা জানি, দেখে থাকি, প্রতিটি কাজেই রেজাল্ট আসে। তা পজিটিভ রেজাল্ট বা নেগেটিভ রেজাল্ট যায় হোক না কেন। এটা চিরন্তন সত্যি কথা যে। যে কোন ঘটনা বা কাজ সংগঠিত হোক না কেন। রেজাল্ট  আসবে। আসবেই। 

কিন্তু অনেকেই আমরা চট জলদি অর্থাৎ অতি দ্রুত রেজাল্ট প্রত্যাশা করি। এবং তা পূরণ না হলে। কাজটার প্রতি আগ্রহ হারায়। মাঝপথে কাজটা ছেড়ে দিই। 

এই প্রবণতা আমাদের বিজিনেসেও আমরা দেখতে পাই। অনেক বন্ধু অতি উৎসাহের সঙ্গে বিজিনেসে যুক্ত হয়। বিজিনেস শুরু করে। কিছুদূর এগিয়ে যায়। কিন্তু প্রত্যাশা অনেক। সেই প্রত্যাশা মত চট জলদি রেজাল্ট না পাওয়ার ফলে মাঝপথে বিজিনেস ছেড়ে চলে যায়। 

এখানেই আসে ধর্য্য। পেসেন্স। কাজের প্রতি নিষ্ঠা। যে কোন কাজে প্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়ার জন্য ধর্য্যের প্রয়োজন পড়ে। আমরা জানি বুঝি। যেমন এক বীজ থেকে চারা বার হয়,চারা গাছ  একদিন বৃক্ষে পরিণত হয়। এবং একদিন সেই বৃক্ষে ফুল আসে। অবশেষে ফল দেয়। এই যে সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। এটা প্রকৃতির নিয়ম অনুসারেই চলে। আমরা যদি মাঝ খানে অধর্য্য হয়ে। তাড়াতাড়ি ফুল ফল প্রত্যাশা করি। তাহলে কি সেটা সম্ভব!

যদি ভালো মানের বীজ হয়। তাকে উর্ব্বর মাটির সংস্পর্শে  আনা হয়। এবং জল আলো ও হাওয়া প্রয়োজনীয় পরিমানে পেয়ে থাকে। তাহলে নির্দিষ্ট সময় মেনে সে বৃক্ষে উত্তরণ ঘটবেই। সময়ের মাঝখানে না। বা সময়ের আগেও না। এর জন্য ধর্য্যধরে  আমাদের অপেক্ষা করতে হয়। 

তেমনি আমাদের ডাইরেক্ট সেলিং বিজিনেসেও ভালো রেজাল্ট পাওয়ার  জন্য ধর্য্য  পেসেন্স রাখতে   হবে। এবং অতি অবশ্যই উৎসাহ নিয়ে কাজটি বুঝতে হবে।  নিষ্ঠাভরে প্রতিনিয়ত শিখতে হবে। এবং লাগাতারভাবে কাজ করে যেতে হবে। সফলতা আসবে। আসবেই। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ