আশাকরি সকলেই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। বিজিনেস ভালো চলছে। আমরা জানি জীবনে সফল হতে হলে এক ভালো মেন্টর বা পরামর্শদাতা ও এক বিস্বস্থ প্লাটফর্ম প্রয়োজন। এবং আমাদের সফলতার ক্ষেত্রে এক মেন্টর ও প্লাটফর্ম কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রতিটি ব্যক্তি। আমরা সকলেই প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে চাই। ইনকাম বাড়াতে চাই। বর্তমানে আমাদের সোর্স অফ ইনকাম যায় থাক না কেন। তাতে আমরা সন্তুষ্ট বা পরিতৃপ্ত নয়। আমরা অধিকাংশ সময় অনেকেই মাল্টিপল সোর্স অফ ইনকাম এর খোঁজে থাকি। এবং আমরা অনেকেই সেই ভাবে কাজ করে থাকি। আজকের দিনে ম্যাক্সিমাম ইনকামের কেন প্রয়োজন। আসুন একটু বোঝার চেষ্টা করি।
দিন দিন যেভাবে জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে। পন্ডিতদের ভাষায় মুদ্রাস্ফীতি ঘটছে। তাতে একটি পরিবারের সকল সদস্যদের ভালোভাবে জীবন যাপন করা। এবং আর্থিকভাবে মোটামুটি স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়া। কতটা কঠিন। তা আমরা প্রত্যেকেই ভুক্তভুগি। বিষয়টা আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য এক পরিসংখ্যান এর সাহায্য নেওয়া যাক। নোবেল প্রাইজ বিজয়ী বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড: অমর্ত্য সেন মহাশয় তাঁর গবেষণা পত্রে পরিসংখ্যান এর মাধ্যমে এক বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। তা হল :-
উনার গবেষণায় উঠে আসে যে প্রতি ১০ বছর অন্তর ১০ গুন হিসাবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য দ্রব্যের দাম বাড়ছে বা বাড়বে। সেই হিসাবে আমাদের রোজগার, প্রতি ১০ বছর অন্তর ১০ গুন বাড়িয়ে যেতে হবে। তাহলেই আমাদের পরিবার মোটামুটি সচ্ছল ভাবে কাটাতে পারবে। উনি দেখিয়েছেন -
১৯৪০-১৯৫০ সালে। যে পরিবারে মাসে ১০ টাকা ইনকাম আসত। তাতেই ভালোভাবে প্রয়োজনীয় খরচ চালানো যেত।
১৯৬০-১৯৭০ সালে। মাসে ১০০ টাকা ইনকাম করলে একই পরিবারে ভালোভাবে সংসার চলত। এই ভাবে ১০ বছর অন্তর অন্তর মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার ফলে, আমাদের পরিবারে প্রয়োজনীয় খরচ এর বাধ্যবাধকতা কিভাবে বেড়ে চলে।
১৯৮০-১৯৯৯ সালে ১০০০ টাকা যে ব্যক্তি বা পরিবারে প্রতি মাসে ইনকাম আসত। সেই পরিবার সচ্ছল অবস্থায় চলত। এইভাবে -
২০০০-২০১০ সালে ১০০০০ টাকা মাসে ইনকাম এলে। পরিবারের প্রয়োজনীয় খরচ মিটিয়ে ভালোভাবে জীবন চালানো যেত। বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি ধরে চললে। সেটাই ২০ বছরের মধ্যে গিয়ে দাঁড়াবে।
২০২০-২০৩০ সালে ১,০০,০০০ টাকা মাসে ইনকাম করতে হবে। তাহলেই সেই পরিবারটি মোটামুটি ভালোভাবে সচ্ছলভাবে চলতে পারবে। অর্থাৎ প্রতি বছর ১০ গুন ইনকাম বাড়াতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের পরিবার পরিজনকে এক ভালো ও সাচ্ছন্দ জীবন দিতে পারব।
এখন প্রশ্ন হল। এটা কিভাবে সম্ভব। আমরা দেখতে পাচ্ছি বর্তমান পরিস্থিতি কেমন ! হু হু করে জনসংখ্যা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে শিক্ষিত বেকার, কর্মহীন সংখ্যা বাড়ছে। চাকুরী বা জব এর পরিধি কমছে। একমাত্র উপায় বা সুযোগ সেলফ এম্প্লয়মেন্ট বা স্ব-কর্মসংস্থান। এবং অন্যদিকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা ডাইরেক্ট সেলিং বিজিনেস। চয়েস আপনা আপনা।
.png)
0 মন্তব্যসমূহ